Cricket

তিন সংস্করণেই সবার ওপরে সাকিব, দেখে নিন সাকিবের প্রতিটি রেকর্ড

bd-cricket-team-red-jerseyআজকের ম্যাচে প্রয়োজন ছিলো কেবল একটি উইকেটের। তাহলেই মাশরাফিকে টপকে তিন ফরম্যাটের খেলায় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় শীর্ষে চলে যাবেন সাকিব। সাকিব উইকেট ঠিকই পেলেন। একটি নয়, গুণে গুণে পাঁচটি। ফলে তিন সংস্করণেই এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ র‌্যাঙ্কিং ২০২১ প্রকাশ, বাংলাদেশ নবম

পাওয়ার প্লেতে সাকিব আল হাসান ছিলেন খরুচে। দুই ওভারেই ব্রেন্ডন টেইলরের ব্যাটে হজম করেছিলেন বাউন্ডারি, দিয়েছিলেন ১৭ রান। পরের স্পেলে বোলিংয়ে ফিরেই বাঁহাতি স্পিনার নিলেন মধুর প্রতিশোধ। ফিরিয়ে দিলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ককে।
আর তাতেই বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট হয়ে গেল তার। তিন সংস্করণেই এখন বাংলাদেশের উইকেটশিকারির তালিকায় সবার ওপরে সাকিব।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে খাবার, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট!

সাকিব ওয়ানডেতে টপকে গেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। বাংলাদেশের হয়ে এ সংস্করণে মাশরাফির উইকেট ২৬৯টি। ক্যারিয়ারে মাশরাফি সব মিলিয়ে ২৭০টি উইকেট পেলেও এর মধ্যে একটি উইকেট তিনি পেয়েছিলেন এশিয়া একাদশের হয়ে। ইনিংসের সংখ্যার বিচারেও মাশরাফিকে পেছনে ফেলেছেন সাকিব। ২১৩ ম্যাচে ২১০তম ইনিংসে এ মাইলফলক হলো সাকিবের। মাশরাফি এখন পর্যন্ত ২১৮ ম্যাচে সমানসংখ্যক ইনিংসেই বোলিং করেছেন। গতকাল ম্যাচ শেষে ৯.৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩০ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট! বাঁহাতি স্পিনে সাকিবের চেয়ে বেশি উইকেট আছে ওয়ানডে ইতিহাসে কেবল দুইজনের। ড্যানিয়েল ভেটোরির উইকেট ৩০৫টি, সনাৎ জয়াসুরিয়ার ৩২৩টি।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ওয়ানডে উইকেটের তালিকায় সাকিব ও মাশরাফির পরই আছেন আবদুর রাজ্জাক। ক্রিকেট ছেড়ে এখন জাতীয় দলের নির্বাচক রাজ্জাক ২০৭ উইকেট নিয়েছিলেন ১৫২ ইনিংসে।

টি২০ বিশ্বকাপে একই গ্রুপে ভারত-পাকিস্তান, বাংলাদেশ কোন গ্রুপে দেখে নিন!

এ ছাড়া ওয়ানডেতে ১০০ বা তার বেশি উইকেট আছে আরও তিনজনের—রুবেল হোসেন (১২৯), মোস্তাফিজুর রহমান (১২৪) ও মোহাম্মদ রফিক (১১৯)।

সাকিব ঘরের মাঠে ১০৫ ম্যাচে নিয়েছেন ১৫৮ উইকেট। প্রতিপক্ষের ভেন্যুতে ৬৯ ম্যাচে ৬৮ ও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ৩৯ ম্যাচে নিয়েছে ৪৪ উইকেট।

গ্রিন টি আসলেই করোনা, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে?

ওয়ানডেতে সাকিব সবচেয়ে বেশি খেলেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। দেশটির বিপক্ষে ৪৬ ম্যাচে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৭৭ উইকেট। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ ম্যাচে নিয়েছেন ৩৭ উইকেট।

সাকিব ২০টির বেশি উইকেট পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২৪) ও পাকিস্তানের (২১) বিপক্ষে। আর ভারতের বিপক্ষে নিয়েছেন ১৯ উইকেটে। পাঁচটির বেশি ম্যাচ খেলে সবচেয়ে কম উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। দেশটির বিপক্ষে নয়টি ম্যাচে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। আর সবচেয়ে কম সাত ম্যাচ খেলে ১৮ উইকেট নিয়েছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

এখন পর্যন্ত ২১৩ ম্যাচে ওভার প্রতি ৪.৪৫ রান খরচ করে সাকিব নিয়েছেন ২৭১ টি উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ২৯ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনবার আর চার উইকেট নয়বার।

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে আগে থেকেই বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড সাকিবের দখলে। টেস্টে তার (২১৫ উইকেট) ধারেকাছেও আপাতত কেউ নেই। তালিকার ২ নম্বরে থাকা তাইজুল ইসলামের উইকেট ১৩৪টি। এরপর আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ (১১৩) ও রফিক (১০০)। টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের উইকেট ৯২টি। দুইয়ে থাকা মুস্তাফিজ নিয়েছেন এখন পর্যন্ত ৫৮টি উইকেট।