ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে খাবার, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট!

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে খাবার, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট!

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য পুষ্টিকর খাবার এবং একটা নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে চলা একান্তভাবে জরুরি ।সঠিক ডায়েট চার্ট মেনে চললে ,সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করলে ডায়াবেটিস নামক রোগটি নিয়ন্ত্রণে রেখে জীবন অতিবাহিত করা যায় ।

পড়ুন: খালি পেটে এক কোয়া রসুন! তারপরই ম্যাজিক! আপনার ১২টি রোগের উপশম হবে।

তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এমন খাদ্য রাখতে হবে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আর সেটিও হতে হবে পরিমাণমতো। চলুন জেনে নেয়া যাক ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, এমন কিছু খাবার সম্পর্কে।

  • সকালের নাস্তায় কি খাবেনঃ
    সকাল: সকাল সাতটা থেকে আটার মধ্যে সকালের নাস্তা শেষ করতে হবে। সকালের নাস্তাটা দেরিতে হলেও যেন ৯.০০টার পর না যায় তা খেয়াল রাখতে হবে।
    নাস্তায় আপনি রুটি/চিড়া/খই/ মুড়ি/ওটস্/ যেটা আপনার পছন্দ সেটাই নিতে পারেন। সাথে নিরামিষ আার একটা ডিম।
  • মধ্য সকালে কি খাবেনঃ
    মধ্য সকাল: ১০.০০.থেকে ১১.০০ টার মধ্যে আপনি নিতে পারেন আপনার পছন্দমতো কোনো একটা ফল। মিষ্টি ফল হলে ১/২ কাপ পরিমাণে খাবেন।
  • দুপুরে কি খাবেনঃ
    দুপুরের খাবার: দুপুর বেলায় আপনি আপনার খাবারে পরিমানমত ভাত, মাছ/মুরগীর মাংস, শাকসবজি, সালাদ ও লেবু ইত্যাদি রাখবেন। দুপুরের খাবার হবে ১.০০ থেকে ২.০০ টার মধ্যে।
  • বিকালের নাস্তায় কি খেতে পারেনঃ
    বিকালের নাস্তা: বিকালের নাস্তায় আপনি রাখতে পারেন সুপ, ছোলা, চিনি ছাড়া বিস্কুট, মিষ্টি ছাড়া পিঠা, বাদাম, মুড়ি, রং চা ইত্যাদি।
  • রাতের খাবারের মেনু কেমন হবেঃ
    রাতের খাবার: রাতে আপনি আপনার পছন্দমতো এবং পরিমানমতো রুটি বা ভাত বা ওটস নিতে পারেন। সাথে দুপুরের মতো মাছ/মুরগী, সবজি, সালাদ, লেবু ইত্যাদি রাখতে হবে। তবে রাতের খাবারটা আপনাকে রাত আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে।
  • শোবার আাগে: রাতে শোবার এক ঘণ্টা আগে এক কাপ দুধ আপনি খেয়ে নিবেন। দুধে সমস্যা থাকলে দই, ছানা পনিরও আপনি নিতে পারেন পরিমাণমতো।
See also  ড্রাগন ফলের উপকারিতা । ড্রাগন ফলের ১০টি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

পড়ুন: খালি পেটে এক কোয়া রসুন! তারপরই ম্যাজিক! আপনার ১২টি রোগের উপশম হবে।

বেশি প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি ভাল

সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, অতিরিক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার বিশেষ করে প্রাণীজ প্রোটিন ইনসুলিন রেজিস্ট্যন্স এ ভূমিকা রাখে অর্থাৎ শর্করা নিয়ন্ত্রণের মূল হরমোন এর কর্মক্ষমতা হ্রাস করে। মূল কথা হল– শর্করা, আমিষ, ও চর্বি জাতীয় খাবার যাই খান না কেন তার সুষম বণ্টন কাম্য।

কি খাবার বেশি খাবেন

  • উপকারী চর্বি যেমন, বাদাম, অলিভ ওয়েল, মাছের তেল ইত্যাদি।
  • শাক সবজি ও ফলমূল– মূলত পরিষ্কার, টাটকা ও রঙিন শাকসবজি ভাল। জুসের থেকে ফল বেশি খেতে হবে।
    দেশজ মাছ ও মুরগি।
  • ভাল প্রোটিন জাতীয় খাবার– যেমন, ডিম, অল্প চর্বি জাতীয় দুধ, টক দই ইত্যাদি।
See also  ডায়াবেটিস কি, লক্ষণ ও প্রতিকার! ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কী খাবেন?

পড়ুন: জেনে নিন অতিরিক্ত টেলিভিশন দেখলে মানুষের আয়ু কমে কেন?

যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে

  • মিষ্টি জাতিয় খাবার
  • ডুবোতেলে ভাজা খাবার
  • অতিরিক্ত তেলে রান্না করা খাবার
  • চর্বি জাতিয় খাবার; যেমন- ডালডা, ঘি ইত্যাদি
  • গরু, খাসী, হাঁস ও পাখির মাংস এড়িয়ে চলতে হবে
  • সাদা পাউরুটি, চিনিযুক্ত সেরিয়াল, প্রক্রিয়াজাত পাস্তা বা চাল
  • প্রক্রিয়াজাত মাছ বা মাংস
  • প্যাকেটজাত ফাস্ট ফুড, বিশেষ করে যাতে চিনি, বেকিং করা খাবার, মিষ্টি, ডেজারট, চিপস ইত্যাদি থাকে।

ব্যায়াম বা শরীরচর্চা:

সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন শরীরচর্চা করতে হবে। যেমন- হাঁটা, সাঁতার কাটা, ব্যায়াম করা, সাইকেল চালানো, দড়ি লাফানো, খেলাধুলা করা ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *