জাতীয়

একাধিক জন্মসনদ বাতিলে নতুন নিয়ম চালু

রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং জন্মসনদ। ছবি: সংগৃহীত
রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং জন্মসনদ। ছবি: সংগৃহীত

একাধিক জন্মসনদ বাতিলে নতুন নিয়ম চালু

কোনো ব্যক্তির অনলাইনে একাধিক জন্মসনদ থাকলে তিনি তার সুবিধামতো একটি রেখে বাকিগুলো বাতিল করতে পারবেন। এজন্য আবেদন করতে হবে অনলাইনে।

সম্প্রতি নতুন এই নিয়ম চালু করেছে ‘রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন’। গত ৫ জুলাই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জানিয়ে সারা দেশের নিবন্ধন কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কাছে চিঠি পাঠানো হয়।

‘জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন সনদ বাতিলের অনুমোদন প্রক্রিয়া’ শীর্ষক ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন সফটওয়্যার বিডিআরআইএসে অপ্রয়োজনীয় সনদ বাতিলের সুবিধা (অপশন) চালু করা হয়েছে। এই সুবিধার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি তার অব্যবহৃত ও অপ্রয়োজনীয় জন্মসনদগুলো বাতিল করে নিতে পারেন।

See also  দেশের ২১টি জেলায় ডিজিটাল রেকর্ডরুম চালু, খতিয়ান মিলবে অনলাইনে

এর আগের নিয়মে, কোনো ব্যক্তির অনলাইনে একাধিক জন্মনিবন্ধন থাকলে যেটি আগে হয়েছে, সেটি রেখে বাকিগুলো বাতিল করতে পারতেন। তবে সে ক্ষেত্রে যারা জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টে প্রথমটির পরিবর্তে দ্বিতীয় বা তৃতীয় জন্মসনদের নম্বর ব্যবহার করেছেন, তারা বিপাকে পড়তেন।

এ অবস্থা বিবেচনা করে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন) নতুন নিয়ম চালু করেছে। যার ফলে এখন প্রথমটি রাখার বাধ্যবাধ্যকতা রইল না। সুবিধামতো যেকোনো একটি জন্মসনদ রেখে অন্যগুলো বাতিল করা যাবে।

যে পদ্ধতিতে বাতিল করতে হবে

  • রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের ইস্যু করা চিঠিতে একাধিক জন্মসনদ বাতিলের পদ্ধতি উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, একাধিক জন্ম সনদধারী ব্যক্তি তাঁর বাতিলযোগ্য সনদসহ সংশ্লিষ্ট নিবন্ধক কার্যালয়ে হাজির হবেন।
  • এখানে ‘সংশ্লিষ্ট নিবন্ধক কার্যালয়’ বলতে যেখানে ব্যক্তি নিবন্ধন করে তাঁর জন্মসনদ নিয়েছিলেন, সেই স্থানকে বোঝানো হয়েছে।
  • পরবর্তী প্রক্রিয়া হলো সংশ্লিষ্ট নিবন্ধক ব্যক্তির জন্মসনদগুলো অনলাইনে যাচাই করবেন। তিনি তাঁর অনুমোদিত ইউজার আইডি থেকে নির্ধারিত ফি নিয়ে অনলাইনে জন্মসনদ বাতিল আবেদনের কাজ শেষ করবেন।
  • পরে নিবন্ধক আবেদনটির বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অনলাইন সিস্টেমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, অর্থাৎ রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে পাঠাবেন। তিনি (রেজিস্ট্রার জেনারেল) তাঁর ইউজার আইডি থেকে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে বাতিলযোগ্য মূল জন্মসনদগুলো বাতিল করবেন। এর মধ্য দিয়ে আবেদনের নিষ্পত্তি হবে।