Corona Virus

করোনায় কুমিল্লার অবস্থা শোচনীয়, ঢাকায় পরে সর্বোচ্চ মৃত্যু কুমিল্লায়

দেশে নভেল করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ হাজার ৫২১ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন মৃতদের মধ্যে ঢাকা ও কুমিল্লায় জেলায় সর্বাধিক মৃত্যুবরণ করেছে। নতুন রোগী শনাক্তের দিক দিয়েও ঢাকা ও চট্টগ্রামের পরই রয়েছে এই জেলা।

করোনা মহামারীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যে খাবারগুলো প্রয়োজন

কুমিল্লাকি করোনার নতুন হটস্পট হতে চলেছে?

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়। ঢাকা মহানগর ও উপজেলাগুলো মিলিয়ে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে কুমিল্লা জেলায়, ২৭ জনের। আর কোনো জেলায়ই মৃত্যুর সংখ্যা ধারেকাছে নেই। তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়, ১২ জনের। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় ১২ ও সিলেটে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনার অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমতি পেল ৭৭ প্রতিষ্ঠান, ফি ৭০০ টাকা

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকায়। মহানগর ও উপজেলা মিলিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৪০। এরপর বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রামে, ৮৪৮ জন। আর কুমিল্লা জেলায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭০১ জন।

গ্রিন টি আসলেই করোনা, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে?

এরপর বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে বরিশালে ৩৮২, রাজশাহীতে ২৬৭, গাজীপুরে ২৫৭, খুলনায় ২৫৩, কুষ্টিয়ায় ২২৩, সিলেটে ২৪৯ জন, নরসিংদীতে ২৪০, টাঙ্গাইলে ২১৩ ও পাবনায় ২০২ জন।

ডেঙ্গু জ্বর ও করোনার লক্ষণ এক হলেও পার্থক্য বুঝবেন কিভাবে?

আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলায় ৩৬ জন, ফরিদপুরে একজন, গাজীপুর নয়জন, গোপালগঞ্জে দুইজন, কিশোরগঞ্জে দুইজন, মাদারীপুরে পাঁচজন, মানিকগঞ্জে দুইজন, মুন্সীগঞ্জে দুইজন, নারায়ণগঞ্জে একজন, নরসিংদীতে দুইজন, রাজবাড়ীতে তিনজন, শরীয়তপুরে একজন ও টাঙ্গাইলে ছয়জন।

দেখে নিন কেন ‘এবি’ ও ‘বি’ রক্তের গ্রুপের করোনা ঝুঁকি বেশি!

  • ময়মনসিংহ বিভাগে নেত্রকোনায় একজন, জামালপুরে দুইজন ও শেরপুরে দুইজন মারা গেছেন।
  • চট্টগ্রাম বিভাগে চট্টগ্রাম জেলায় ১২ জন, কক্সবাজার জেলায় তিনজন, নোয়াখালীতে দুইজন, লক্ষ্মীপুরে দুইজন, চাঁদপুরে আটজন, কুমিল্লায় ২৭ জন ও ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় পাঁচজন মারা গেছেন।
  • রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলায় সাতজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে চারজন, নাটোরে তিনজন, নওগাঁয় একজন, পাবনায় একজন, সিরাজগঞ্জে তিনজন ও বগুড়ায় দুইজন মারা গেছেন।
  • রংপুর বিভাগে রংপুর জেলায় সাতজন, পঞ্চগড়ে একজন, নীলফামারীতে একজন, লালমনিরহাটে একজন, ঠাকুরগাঁওয়ে তিনজন ও দিনাজপুরে তিনজন মারা গেছেন।
  • খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলায় চারজন, চুয়াডাঙ্গায় দুইজন, যশোরে নয়জন, ঝিনাইদহে চারজন, খুলনায় সাতজন, কুষ্টিয়ায় ১২ জন, মাগুরায় দুইজন, মেহেরপুরে তিনজন ও নড়াইলে তিনজন মারা গেছেন।
  • বরিশাল বিভাগের বরিশালে দুইজন, পটুয়াখালীতে একজন, ভোলায় একজন, পিরোজপুরে একজন ও বরগুনায় সাতজন মারা গেছেন।
  • সিলেট বিভাগের সিলেট জেলায় ১০ জন, সুনামগঞ্জে তিনজন ও হবিগঞ্জে একজন মারা গেছেন।