পিএসজি ৩-০ গোলে জয় পেলেও,সমর্থকেরা কেন মেসি-নেইমারকে দুয়ো দিলেন?
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দুই ম্যাচ পর জয়ের স্বাদ পেল পিএসজি। তবে জয় পেলেও যাঁদের কারণে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে বাদ পড়লো পিএসজি এবং বাদ পড়ার জন্য পোড়া ক্ষত, সেই মেসি-নেইমারদের শিষ বাজিয়ে-দুয়োতে নিজেদের বিরক্তি-হতাশার কথা জানান দিলেন পিএসজি সমর্থকেরা।
রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর সহজ উপায় | যা খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়বে
ঘরের মাঠে রোববার লিগ ওয়ানের ম্যাচে বোর্দোর বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছে পিএসজি। সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়ার দিনে অবশ্য গোল পেয়েছেন নেইমার। তাদের আরেক গোলদাতা লেয়ান্দ্রো পারেদেস। গোল পেতে পারতেন মেসিও। সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকার শট লাগে পোষ্টে। তিন গোলে জিতেও তাই সমর্থকদের মন জেতা হলো না মেসি-নেইমারদের। গোলের পর উদযাপন করেননি নেইমার। লিগ ওয়ানে বোর্দোর বিপক্ষে সাত ম্যাচে এটি তার অষ্টম গোল।
ডায়াবেটিসের লক্ষণ কী কী। কিভাবে নিশ্চিত হবেন আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে?
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে ৩-১ গোলে হেরে প্রতিযোগিতাটি থেকে ছিটকে যাওয়ার আগে লিগ ওয়ানে নিসের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল প্যারিসের দলটি।
রিয়ালের মাঠেও দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন এমবাপে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তিন গোল হজম করেছিল তারা, যেটির শুরুটা হয়েছিল দোন্নারুম্মার একটি ভুল থেকে।
চলতি লিগ ওয়ানে ২৪ ম্যাচে এমবাপের গোল হলো ১৫টি। প্রথমার্ধে এই একটিই ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারে পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। এই গোলেও অবদান আছে মেসির। আর্জেন্টাইন তারকার থ্রু বল বক্সের ভেতর খুঁজে পায় আশরাফ হাকিমিকে। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডারের পাসে ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
হঠাৎ কিডনি বিকল হতে পারে যে কারণে?
এমবাপের ধারাবাহিকভাবে গোল পাওয়া, নেইমারের গোলে ফেরা কিংবা পিএসজির স্বস্তির জয়-এই সবকিছুর মাঝে আলাদা করে নজর কাড়ে মেসি-নেইমারকে উদ্দেশ্য করে সমর্থকদের দুয়ো দেওয়া। দুই তারকার পায়ে বল গেলেই দুয়ো দিচ্ছিলেন তারা।
ফরাসি ক্লাবের সমর্থকদের চোখে খলনায়ক অবশ্য শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও ছিল। ক্লাবের চেয়ারম্যান নাসের আল-খেলাইফি, ক্রীড়া পরিচালক লিওনার্দো, কোচ মরিসিও পচেত্তিনো-সবারই এই মৌসুম শেষে পিএসজি ছেড়ে দেওয়ার গুঞ্জন। ক্লাবের প্রশাসনের ওপরও বিরক্ত আজ মাঠে ব্যানারে লিখে এনেছেন, ‘বিদেয় হও!’ এ সবের মধ্যেই ফুটবল চলেছে, তবে তাতে প্রাণ ছিল না আরকি।
প্রতিটি গোলের পর ডাগআউটে কোচ পচেত্তিনোর নির্বিকার মনোভাবও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ২৮ ম্যাচে ২০ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। সমান ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে নিস। ২৭ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে মার্সেই। তাদের সমান ম্যাচে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে চারে রেন।