টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে কেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে কেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি
ঢাকা: ১৬ জুন ২০২৩; গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে কেন পড়বেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
পড়ার বিষয় যখন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
টেক্সটাইল শিল্প দেশের অর্থনীতির প্রাণ। বাংলাদেশে চাকরির বাজারে বর্তমানে যে কয়টি বিষয়ের গ্রাজুয়েটদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশে রয়েছে চাকরির বড় বাজার।
সরকারের বিভিন্ন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে স্থাপিত দেশী-বিদেশী টেক্সটাইল মিল, বিভিন্ন বায়িং অফিস, বুটিক হাউস, ফ্যাশন হাউস, গার্মেন্ট শিল্পে ও টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন পজিশনে কাজের সুযোগ রয়েছে। আর যারা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করেছেন তারা এই দেশেরই টেক্সটইল ইঞ্জিনিয়াররা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশ কে টেক্সটাইল সেক্টরের পরবর্তি চীন হিসেবে ঘোষনা করেছে। তাই এই ক্ষেত্রটি আমাদের দেশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা।
বলা যায়, আমাদের দেশে যে পরিমাণ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন, তার অর্ধেকও আমরা জোগান দিতে পারছি না। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে যে কেউ খুব সহজেই পোশাক শিল্পের কাজে নিজেকে জড়াতে পারেন। ইদানীং অনেকেই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক শেষ করে দেশের বাইরে পড়তে যাচ্ছেন। কেউ স্নাতকোত্তর, পিএইচডি করে দেশে ফিরে এসে চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন, কেউবা সেই দেশেই চাকরি খুঁজে নিচ্ছেন। বিসিএসও দিচ্ছেন অনেকে।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ভবিষ্যৎ কী?
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পাস করে বের হওয়া একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ সুবিস্তৃত। টেক্সটাইল সেক্টর প্রতিনিয়ত বাড়ছে। মেডিকেলের উপকরণ, অটোমোবাইল, মহাকাশ, জিও টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন সেক্টরে টেক্সটাইলের ব্যবহার বাড়ছে। আজকাল উন্নত দেশগুলোতে মাইক্রোচিপ থেকে শুরু করে বিশাল ভবন, সেতু, অস্ত্রের কাঠামো, বুলেটরোধী পোশাক—এসব মিশ্র বস্তু উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ফাইবার দিয়ে করা হচ্ছে। দিন যত যাবে, টেক্সটাইলের ব্যবহার বাড়তেই থাকবে।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ক্যারিয়ার কোথায়?
টেক্সটাইল মিল, কারখানা, বায়িং হাউস, মানবসম্পদ, ফ্যাশন ডিজাইনিং, বিপণন সবখানেই টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের জন্য দরজা খোলা রয়েছে। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে শুধু যে টেক্সটাইল মিল, কারখানায় কাজ করতে হবে বিষয়টা তেমন না।
আমাদের এখানে যাঁরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন কিংবা মেশিন ডিজাইন, মেশিন রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে পড়ছেন, তাঁরা টেক্সটাইলের বাইরে অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রেও অবদান রাখতে পারেন। কেউ যদি উদ্যোক্তা হতে চান, তাঁর জন্য রয়েছে অপার সুযোগ। আমাদের দেশে এখনো টেক্সটাইল যন্ত্রের নকশা কেউ করছে না। যন্ত্রের জন্য আমাদের বিদেশিদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তাদের বানানো যন্ত্রে চলছে আমাদের উৎপাদন।
এ ছাড়া কোনো যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেলে আবার বিদেশি কোম্পানি থেকে লোক আসছেন, এসে ঠিক করছেন। সব মিলিয়ে কারখানার তাতে ২০-২৫ দিনের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর বিদেশিদের উচ্চ পারিশ্রমিক তো আছেই। কিংবা ধরুন, আমাদের দেশে এখনো তৈরি পণ্যের মান রক্ষণাবেক্ষণের মতো নিজস্ব যন্ত্র বা প্রতিষ্ঠান নেই।
যে কয়েকটা কোম্পানি আছে, সবই বিদেশিদের। সেখানে হয়তো আমাদের দেশি প্রকৌশলীরাই কাজ করছেন, কিন্তু প্রতিষ্ঠানের মালিক বিদেশিরা। এ ছাড়া এখনো আমাদের নিজেদের তৈরি কোনো ভালো মানের ‘ডাইস কেমিক্যাল’ নেই। বিদেশ থেকে আমদানি করেই কাজ চলছে। এখনকার তরুণ উদ্যোক্তারা চাইলে এই খাতগুলো নিয়েও ভাবতে পারেন।
কেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি?
টেক্সটাইলের ওপর দেশের একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ‘বুটেক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য (সাবেক) অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র সূত্রধরের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে এই বিভাগ। বর্তমানে তিনি বিভাগটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ড. নিতাই চন্দ্র সূত্রধর জানান, গোটা বিশ্ব তো বটেই, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভাগটিতে অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র সূত্রধর ছাড়াও বেশ কয়েকজন পিএইচডি ডিগ্রীধারী ও অভিজ্ঞ শিক্ষক রয়েছেন।
গ্রিন ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল বিভাগের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো— স্বল্প খরচে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাদান করা। তাছাড়া বিভাগটিতে হাতে-কলমে শেখার জন্য পাওয়ার লুম, নিটিং মেশিনসহ ফেব্রিক ল্যাব, স্যাম্পল ড্রায়ার, জিগার, প্যাডরোলার, উইন্স, স্ট্ক্রিন প্রিন্টার, স্যাম্পল ওয়াশিং মেশিনসহ কালারেশন ল্যাব, গার্মেন্টস ল্যাবে স্যাম্পল কাটারসহ আধুনিক সুইং মেশিন, টেস্টিং কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবে প্রয়োজনীয় মেশিনারি, ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস, পদার্থ ও রসায়ন ল্যাব, ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রইং ও ফেব্রিক ডিজাইন অ্যানালাইসিসের জন্য আলাদা ল্যাব রয়েছে।
গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে রয়েছেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকমণ্ডলী
গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে চাকরিরত সব শিক্ষক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। শুধু তাই নয়, যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে সদা সচেষ্ট গ্রিন ইউনিভার্সিটি। এক্ষেত্রে ফার্স্টক্লাসধারী লিখিত, প্রেজেন্টশন ও ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, নিয়োগদানের পর তাদের (শিক্ষক) শিক্ষাদান দক্ষতা বৃদ্ধিতে সেমিস্টারজুড়ে (চার মাস) প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যে ধারা গ্রিন ইউনিভার্সিটি ছাড়া মাত্র দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান করা প্রবীণ শিক্ষকরাও তুলনামূলক অধিক যোগ্য ও অভিজ্ঞ। প্রশিক্ষণ জগতের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বর্তমানে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সাবেক এই উপ-উপাচার্য দীর্ঘদিন যাবৎ যুক্তরাষ্ট্রের এসআইটি গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউটে ‘ভিজিটিং প্রফেসর’ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গ্রিন ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টের সুযোগ-সুবিধা
চীনের উহান টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটি এবং বেইজিং ল্যাংগুয়েজ অ্যান্ড কালচারাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান দুটিতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল বিভাগের নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী। এর বাইরেও মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি তুন আবদুল রাজাক, বাইনারি ইউনিভার্সিটি, হোবেই ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, চায়না থ্রি জর্জেজ ইউনিভার্সিটি, হোবেই ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব রেজিনাসহ যুক্তরাজ্য, কানাডা, মালয়েশিয়া ও ভারতসহ বিশ্বের নামকরা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানের চুক্তি রয়েছে।
অবকাঠামো ক্ষেত্রে অনন্য সুবিধা পাচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এজন্য ঢাকার সন্নিকটে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নান্দনিক পরিবেশে স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসটিতে যেতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা রেখেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
ভর্তিতে সুযোগ সুবিধা
নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে টিউশন ফির ওপর সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ ছাড় দিয়ে থাকে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। এছাড়াও এসএসসি ও এইচএসসির ফল ও করপোরেট ও গ্রুপভিত্তিক ভর্তি হলেও রয়েছে বিশেষ ছাড়।
সামগ্রিক বিষয়ে গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় বদ্ধপরিকর। আমরা শুধু অ্যাকাডেমিক্যালি কমপিট্যান্ট গ্রাজুয়েট তৈরি করি না, পাশাপাশি তাদেরকে নৈতিক মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন হিসেবেও দেখতে চাই। সেই সঙ্গে তাদেরকে অবশ্যই সামাজিক দায়িত্ববোধ সম্পন্ন নাগরিক হতে হবে। তাহলেই তারা পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।
যোগাযোগ-+8801324713502, +8801324713503, +8801324713504, +8801324713507, +8801324713508
অনলাইনে ভর্তির লিংক: https://applyonline.green.edu.bd/