নেইমার কি তবে পিএসজির ‘শেষের মহানায়ক’ হচ্ছেন!
জয়টা পিএসজির জন্য খুব দরকার ছিল। কেননা এই জয়ের সুবাদে লীগ ওয়ানের শীর্ষস্থানটা দখলে নিয়েছে ফরাসি ক্লাবটি। এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ থেকে ২১ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরেছে তারা। দুইয়ে থাকা নঁতের অর্জন পিএসজির সমান ম্যাচ থেকে ১৯ পয়েন্ট। তিন আছে অ্যাঞ্জার্স। তারাও ৯টি ম্যাচে অংশ নিয়েছে। আর পয়েন্ট ১৬। তবে শিরোপাপ্রত্যাশী লিঁও এবার অনেকটা পেছনে। আট ম্যাচ খেলে ৯ পয়েন্ট পাওয়ায় ১৩ নম্বরে নেমে গেছে দলটি।শুরুটা হয় পাওলো সারাবিয়াকে দিয়ে। ১৩তম মিনিটেই প্যারিসের গ্যালারিতে প্রথম উদযাপনের উপলক্ষ এনে দেন এই স্প্যানিশ। ৩৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মাওরো ইকার্দি। যেটা পিএসজির হয়ে লীগে তার প্রথম গোল।
ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে বাঁ পায়ের দারুণ শটে অ্যাঞ্জার্সের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন নেইমার। এই মৌসুমে যেটা ব্রাজিলিয়ান সেনসেশনের চতুর্থ লীগ গোল। কাকতালীয়ভাবে শনিবার অ্যাঞ্জার্স বিপক্ষেও এটি ছিল পিএসজির চার নম্বর গোল। চোট কাটিয়ে ফেরার পর এখন পর্যন্ত ফরাসি জায়ান্টদের হয়ে চারটি গোল করেছেন নেইমার। ওই চারটিই আবার ম্যাচের ৭০ মিনিট পর। লীগ ওয়ানের এই মৌসুমে যেটা অন্য কোনো খেলোয়াড় পারেননি। যেন পিএসজির শেষের নায়ক নেইমারই।দুই গোল খাওয়ার পর খানিকটা ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় অ্যাঞ্জার্স। তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে পিএসজির বিপদসীমায় নিয়মিত বিরতিতে ভয় ধরিয়েও পারেনি কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নোঙর করতে। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধে নেমে আরও দুই গোল হজম করে অ্যাঞ্জার্স। ৫৯তম মিনিটে ইদ্রিসা গিয়ের গোলে স্কোরলাইন ৩-০ করে পিএসজি। আর ৯০তম মিনিটে নেইমারে পূরণ হয় পিএসজির গোলের হালি।