অলৌকিক কান্ড! এবার ড্রোনের সাহায্যে কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টিতে ভাসল দুবাই শহর
কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টি নামানোর পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রতিদিনই দুবাইয়ের তাপমাত্রা পার করছিল ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির সরকার সিদ্ধান্ত নেয় কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরির। এটি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেন আমিরাতের বিজ্ঞানীরা। নতুন প্রক্রিয়ায় বৃষ্টি নামান তারা।
এই কাজে ব্যবহার হবে বিশেষ ড্রোন। এই ড্রোন উড়ে যাবে মেঘগুচ্ছের কাছে। এরপর সেখানে বৈদ্যুতিক শক বা তাপ দেয়া হবে। যাতে মেঘ গলে ফোঁটায় ফোঁটায় বৃষ্টির সৃষ্টি হবে।
ড্রোন থেকে কৃত্রিমভাবে বৈদ্যুতিক চার্জ ব্যবহার করে আবহাওয়াকে পাল্টে দেন তারা। ফলে মরুর দেশটিতে দেখা মেলে বৃষ্টির। বলা চলে, জোর করেই বৃষ্টি নামিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান বৃষ্টিপাতের অফিশিয়াল ভিডিও প্রকাশ করেছেন দুবাইয়ের আবহাওয়া কর্মকর্তারা।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বছরে সাধারণত ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। সার্বিক বিচারে দেশটিতে প্রয়োজনের তুলনায় এটি খুবই কম। এজন্য তারা ২০১৭ সালে ১৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করে কয়েকটি বৃষ্টিবর্ধন প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়।
বিজ্ঞানীরা নতুন যে প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছেন, সেটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে গোটা বিশ্বের জন্য। সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদন বলছে, আগের প্রক্রিয়াগুলোর মতো পরিবেশের উপর বেশি প্রভাব না ফেলেই অনাবৃষ্টি কমাতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে নতুন প্রক্রিয়াটি।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ রিডিংয়ের গবেষকদের তথ্য অনুসারে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিজ্ঞানীরা ড্রোন ব্যবহার করে ঝড় তৈরি করেছেন প্রথমে, যা বিদ্যুতের মাধ্যমে মেঘে আঘাত হানে, এতে শুরু হয় ভারী বৃষ্টিপাত। বলে রাখা ভালো, গরম প্রধান দেশে হালকা বৃষ্টিপাতে বৃষ্টির ফোঁটা অনেক সময় মাটিতে পড়ার আগেই বাষ্প হয়ে যায়।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত মানসুর আবুলহোল মে মাসে ইউনিভার্সিটি অফ রিডিং সফরকালে বলেন, “ভেবে ভালো লাগছে, যে বৃষ্টিপাত প্রযুক্তি আজ আমি দেখেছি, তা এখনও তৈরি হচ্ছে, হয়তো কোনোদিন এটি দেশগুলোকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো জল দুর্লভ পরিবেশে সমর্থন করবে।” ওই সময় নতুন প্রযুক্তিটি কীভাবে কাজ করে তা দেখানো হয়েছিল তাকে।
অন্যদিকে, ইউনিভার্সিটি অফ রিডিংয়ের ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট ব্যান ডে নুর্ট বলেন, “অবশ্যই আমাদের আবহাওয়াকে বদলে দেওয়ার সক্ষমতা প্রাকৃতিক শক্তির তুলনায় নগন্য। বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার মধ্য দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো সম্পর্কে বোঝা এবং তা ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যে আমাদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে, সে ব্যাপারে আমরা সচেতন।”
طريق القوع جنوب #العين #أبوظبي #المركز_الوطني_للأرصاد #أمطار_الخير #أصدقاء_المركز_الوطني_للأرصاد #حالة_الطقس #حالة_جوية #هواة_الطقس #إدريس_المرزوقي #عواصف_الشمال pic.twitter.com/CC6j0TNsKp
— المركز الوطني للأرصاد (@NCMS_media) July 21, 2021