Education

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান, কোন ইউনিভার্সিটিতে পড়বেন দেখে নিন

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান, কোন ইউনিভার্সিটিতে পড়বেন দেখে নিন

Reasons to study in Computer Science

ইঞ্জিনিয়ারিং বা কারিগরি বিদ্যা হলো সায়েন্স বা বিজ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ। এক সময় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়গুলোর মধ্যে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সবচেয়ে জনপ্রিয় থাকলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অন্যান্য বিষয়গুলোও। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি বিষয়গুলো বর্তমানে শিক্ষার্থীদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। তবে যেকোন একটি বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির আগে শিক্ষার্থীদের ইঞ্জিনিয়ারিং কেন পড়বেন কিংবা কোথায় পড়বেন এমন কিছু বিষয় জেনে নেওয়া অত্যাবশ্যক। অধিকাংশ প্রকৌশলের নিয়ম অনুসারে, কম্পিউটার প্রকৌশলীদের জন্য সামান্য গণিত এবং বিজ্ঞানের জ্ঞান থাকা আবশ্যক।

কেন এবং কোথায় পড়বেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং

কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই)

১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি চালু করে। কম্পিউটার প্রকৌশলীদের ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল সফটওয়ার ডিজাইন ও হার্ডওয়ার-সফটওয়ার একত্রীকরণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ শিক্ষা ও দক্ষতা থাকতে হয়। কম্পিউটার প্রকৌশলীরা রোবোটিক্স গবেষণার জন্য উপযুক্ত, যা বিভিন্ন তড়িৎ সিস্টেম যেমন মোটর, যোগাযোগব্যবস্থা, সেন্সর প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণে ডিজিটাল সিস্টেমের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। 

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে সাধারণ ও বিশেষ কম্পিউটারের জন্য সফটওয়ার তৈরি করা, এমবেডেড মাইক্রোকন্ট্রোলারের জন্য ফার্মওয়ার লিখা, বিভিন্ন ভিএলএসআই চিপ ডিজাইন, বিভিন্ন এনালগ সেন্সর ডিজাইন, বিভিন্ন সার্কিট বোর্ড ডিজাইন এবং অপারেটিং সিস্টেম ডিজাইন ইত্যাদি। এর প্রধান কোর্স হচ্ছে প্রোগ্রামিং। কম্পিউটার সায়েন্স বললে অবধারিত ভাবে প্রথমেই চলে আসে প্রোগ্রামিং। প্রোগ্রামিং হলো কম্পিউটারকে কথা শুনানোর উপায়। কম্পিউটার যেহেতু মানুষের ভাষা বুঝেনা তাকে বোঝাতে হয় বিশেষ ভাষায় যাকে বলে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। তবে, এই কোর্সটি এতটা সহজ নয়। আপনাকে এই কোর্সটি যত্নবান হয়ে করতে হবে, তবেই আপনি এই ক্ষেত্রে নিজের উন্নতি করতে পারবেন।

কেন ও কোথায় পড়বেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং!

কেন কম্পিউটার সায়েন্সে পড়বেন ?

কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ার অনেক কারণ রয়েছে। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

  • তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে প্রচুর কাজের সুযোগ: সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার ফলে বেকারত্বের হার বেড়েই চলেছে। তবে কম্পিউটার সায়েন্স এবং তথ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এটি পুরোপুরি ব্যতিক্রম। প্রকৃতপক্ষে, কম্পিউটার সায়েন্স এবং তথ্য ও প্রযুক্তির চাকুরীর বাজার প্রতিনিয়ত ক্রমবর্ধমান হচ্ছে।
  • উচ্চ বেতনের নিশ্চয়তা প্রদান করে: কম্পিউটার সায়েন্স চাকুরীর নিশ্চয়তা প্রদানের পাশাপাশি চমৎকার বেতনের নিশ্চয়তাও প্রদান করে থাকে।
  • চমৎকার সন্তুষ্টি: কম্পিউটার সায়েন্স বা তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে চাকুরীর জন্য কেবলমাত্র অর্থই একমাত্র প্রত্যাশিত বস্তু নয়। অন্যান্য চাকুরীর তুলনায় এই খাতের চাকুরীতেই সবচেয়ে কাজের সন্তুষ্টি পাওয়া যায়।
  • এটি বৈচিত্র্যপূর্ণ ক্যারিয়ার: কম্পিউটার প্রযুক্তি আজকাল প্রায় সকল কাজের অংশ হয়ে দাড়িঁয়েছে। অর্থাৎ কম্পিউটারের ব্যবহারের ছাড়া কোন কাজই সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। কম্পিউটার ডিগ্রীর মাধ্যমে আপনি প্রোগ্রামিং, ডাটাবেজ ব্যবস্থাপনা, নেটওয়ার্কিং ও ডেস্কটপ সমর্থন ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পারবেন। যা আপনার জীবনকে বৈচিত্র্যময় করে তুলতে পারে।
  • বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বস্থানে পৌছুতে পারবেন: কম্পিউটার সায়েন্স ডিগ্রী অর্জন করতে অনেক বেশি ব্যবহারিক ক্লাস করতে হয়। তার মানে এই নয় যে এটি অত্যন্ত কঠিন ও জটিল। আর ব্যবহারিক ক্লাসে আপনি শুধু মাত্র তত্ত্বই শিখতে পারবেন না, কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি ও পরিবর্তন করাও শিখতে পারবেন। আপনি যখন পেশাদারী জীবন শুরু করবেন তখন সারা বিশ্বের মানুষের নিকট আপনার তৈরি জিনিস গুলো পৌছেঁ দিতে পারবেন।
  • অধ্যয়নকালীন সময়েও আয় করতে পারবেন: আপনার অর্জিত দক্ষতা গুলো কাজে লাগিয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায়ই আপনি আয় করা শুরু করতে পারেন। আর এ জন্য আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। তাছাড়া আপনি আপনার এলাকায় তথ্য ও প্রযুক্তি সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করে বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট পরিসেবা প্রদান করেও আয় করা শুরু করতে পারেন।
  • যুক্তি ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা: কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকেন। আর এই দক্ষতা গুলো আপনি আপনার বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে প্রয়োগ করতে পারেন।

সময়ের চাহিদা ইঞ্জিনিয়ারিং কেন পড়বেন, কোথায় পড়বেন?

কম্পিউটার সায়েন্সে ক্যারিয়ার সম্ভাবনা

একজন ভাল কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বা প্রোগ্রামার হতে পারলে দেশে ও দেশের বাইরে রয়েছে চাকরির ব্যাপক সুযোগ। সিএসই শিক্ষার্থীদের বড় প্রতিষ্ঠানে ভালো পজিশনে চাকরি পেতে হলে প্রোগ্রামিংয়ে ভালো দখল থাকতে হবে। মূলত সি++, জাভা প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতা, ডাটা স্টাকচার, আলগরিদম, ডাটাবেজ ও সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে আবেদনকারীর ভালো দখল আছে কিনা বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তা যাচাই করে। এছাড়া বিদেশী প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে ইংরেজিতে কতটা দখল আছে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। উল্লেখ যোগ্য কাজের ক্ষেত্র সমূহ ‍নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

  • সিকিরিওটি বিশ্লেষক
  • ডাটা সাইনটিস্ট
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্লেষক
  • গেম ডেভেলপার
  • সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
  • আইটি কনসাল্টেন্ট
  • সফটওয়্যার ডেভেলপার
  • ডাটাবেজ পরিচালক
  • কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
  • কম্পিউটার সিস্টেম বিশ্লেষক
  • কম্পিউটার নেটওয়ার্ক নির্মাতা
  • ওয়েব ডেভেলপার
  • তথ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষক
  • কম্পিউটার সিস্টেম ও ইনফরমেশন ম্যানেজার
  • কম্পিউটার প্রোগ্রামার

আইনজীবী হতে চান? উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়তে কেন ও কোথায় আইন পড়বেন!

কেমন যোগ্যতা চাই

চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হতে হলে একজন শিক্ষার্থীর অবশ্যই বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা থাকতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছে তারা এই বিভাগে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ভর্তির যোগ্যতা ও অন্যান্য নিয়ম ভিন্ন। তাই যার যে বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিস্তারিত তথ্যাবলী জেনে নিতে হবে। কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে হলে সবচেয়ে যে বিষয়টি গুরুত্ত দিতে হবে তা হল-

  • গনিতে দক্ষতা
  • লজিকাল অপারেশন
  • ইলেক্ট্রনিক্স
  • পরিশ্রম
  • ধৈর্য

গ্রিন টি আসলেই করোনা, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে?

কোথায় পড়বেন

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য বাংলাদেশে যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি করেছে। বাংলাদেশে যতগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে; এর মধ্যে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের ‘সিএসই’ বিভাগ ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) স্বীকৃতির আওতাভুক্ত

  1. নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
    ফোন: ৮৮৫২০০০,
    ওয়েবসাইট: www.northsouth.edu
  2. ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
    ফোন: ৮৮২৪০৫১-৪,
    ওয়েবসাইট: www.bracuniversity.ac.bd
  3. আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি)
    ফোন: ৯৮৯৭৩৮৭, ৯৮৯৪২২৯
    ওয়েবসাইট: www.aiub.edu
  4. ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ
    ফোন: 09612-939393
    ওয়েবসাইট: www.stamforduniversity.edu.bd
  5. ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
    ফোন: ৯৮৮২৩০৮,
    ওয়েবসাইট: www.ewubd.edu
  6. ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)
    ফোন: ৯১২৫৯১২-৬,
    ওয়েবসাইট: www.uiu.ac.bd
  7. ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
    ফোন: ৯১৩৮২৩৪-৫
  8. গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
    ফোন: 01324713502, 01324713503, 01324713504,

    01324713506, 01324713507, 01324713508

    ওয়েবসাইট: www.green.edu.bd

  9. ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক
    ফোন: ৯৬৬৪৯৫২,
    ওয়েবসাইট: www.uap-bd.edu
  10. ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব)
    ফোন: ৯৬৬-১৩০১
    ওয়েবসাইট: www.ulab.edu.bd

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *