ক্রিকেট

অস্ট্রেলিয়ায় টয়লেটও পরিষ্কার করতে হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের!

অস্ট্রেলিয়ায় টয়লেটও পরিষ্কার করতে হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের!

ভারতকে নিয়ে খেলেই চলেছে অস্ট্রেলিয়া। এবার এমন এক হোটেলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ভারতের ক্রিকেটারদের জন্য যেখানে নিজেদের টয়লেট নিজেদেরকেই পরিষ্কার করতে হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের।

সিডনিতে তৃতীয় টেস্ট খেলে আজই ব্রিসবেনে পৌঁছেছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া দুই দলই। ভারত উঠেছে সোফিটেল নামের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে। চতুর্থ টেস্টের ভেন্যু গ্যাবা থেকে চার কিলোমিটার দূরের হোটেলটাকে নাকি ভারতীয় ক্রিকেটারদের কাছে ঠিক ‘জেলখানা’ মনে হচ্ছে।

শুধু ব্রিসবেন নয়, পুরো কুইন্সল্যান্ড রাজ্যেই চলছে কঠোর লকডাউন। প্রতিবেশি নিউ সাউথ ওয়েলসের সিডনিতে নতুন করে করোনা সংক্রমণের পর এই ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। শুরুতে তো ভারত–অস্ট্রেলিয়া দুই দলকেই কঠোর কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে জানিয়েছিল কুইন্সল্যান্ড রাজ্য সরকার। ভারত রাজি হয়নি ওই শর্তে ব্রিসবেনে যেতে। পরে অনেক আলোচনার পর কঠোরতা কিছুটা শিথিল করার আশ্বাস দেওয়ার পর রাজি হয়েছে ভারত।

See also  এক নজরে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের শীর্ষ রেকর্ড দেখে নিন

তবে ফাইভ স্টার হোটেল হলেও সেখানে রুম সার্ভিস বা হাউসকিপিং সুবিধা দেয়া হয়নি ভারতীয় দলকে। অনুমতি মেলেনি সুইমিল পুল ব্যবহারের। হোটেলে যে জিমনেশিয়াম রয়েছে তা অত্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ের, যা আন্তর্জাতিক মানের ধারেকাছেও নয়। এমনকি নিজেদের টয়লেটও নিজেদেরই পরিষ্কার করতে হচ্ছে, এমন অভিযোগ এসেছে ভারতীয় শিবির থেকে।

এই নিয়ে বিসিসিআই এর এক সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে নিজেদের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, “আমরা আমাদের ঘরে বন্দি রয়েছি, নিজেদের খাট নিজেদেরই গোছাতে হচ্ছে, নিজেদের টয়লেট নিজেদেরই পরিস্কার করতে হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী ভারতীয় রেস্তোরাঁ থেকে আমাদের জন্য খাবার আসছে এবং সেই খাবার আমাদের ফ্লোরে দেওয়া হচ্ছে। আমরা আমাদের জন্য নির্ধারিত ফ্লোর থেকে বেরোতে পারছি না। পুরো হোটেলটাই খালি, কিন্তু আমরা হোটেলের কোনো সেবা নিতে পারছি না। সুইমিং পুল এবং জিম কিছুই ব্যবহার করতে পারছি না। হোটেলের সমস্ত ক্যাফে ও রেস্তোরাঁও বন্ধ রয়েছে।”

See also  রশিদ খানের হুঙ্কার, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখাব আমরা কত ভালো দল

বোঝাই যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার এমন ‘আতিথেয়তা’য় যারপরণাই বিরক্ত ভারতীয় দল। পুরো ঘটনা বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলিকে জানিয়েছেন আজিঙ্কা রাহানেরা। ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ান বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে।

সেইসঙ্গে এও জানানো হয়েছে, যদি সুযোগ সুবিধা ঠিক করা না হয়, তবে ভারতে ফিরে আসতে চান তারা। ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্ট। ১-১ সমতার সিরিজে এই টেস্টটাই ফল ঠিক করবে। অস্ট্রেলিয়া কি তবে ইচ্ছে করেই ভারতকে এমন ‘শাস্তি’ দিচ্ছে?