করোনা ভাইরাস

গুরুতর করোনা রোগীদের যে কয়েকটি পরীক্ষা করতে বলেন চিকিৎসকেরা

গুরুতর করোনা রোগীদের যে কয়েকটি পরীক্ষা করতে বলেন চিকিৎসকেরাসতর্কবার্তা:
”চিকিৎসকদের পরামর্শ ও সরাসরি তত্ত্বাবধান ছাড়া নিচে বর্ণিত পরীক্ষাগুলো করা এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া আপনার জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। কাজেই চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন ও বর্ণিত পরীক্ষাগুলো করা কোনভাবেই উচিত হবে না”

এছাড়া জ্বর, সর্দি-কাশি, থুতু দিয়ে রক্ত বেরনো, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথার মত কিছু ঘটে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি।

গ্রিন টি আসলেই করোনা, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে?

তিন ধরনের মানুষ সাধারণত কোভিডের পরীক্ষা করাতে আসেন, (১) যাঁরা কোভিড রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন। (২) এমন জায়গা থেকে এসেছেন, যেখানে রোগ খুব বেশি হচ্ছে। (৩) যাঁদের নির্দিষ্ট কিছু উপসর্গ দেখা দিয়েছে, যেমন, জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, ক্লান্তি, গা-হাত-পা-মাথাব্যথা, গা-ম্যাজম্যাজ, বুকে চাপ বা শ্বাসকষ্ট, ডায়ারিয়া, গা-বমি বা স্বাদ-গন্ধ না পাওয়া ইত্যাদি।

See also  কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু, করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ২২৭ জন

দেখে নিন কেন ‘এবি’ ও ‘বি’ রক্তের গ্রুপের করোনা ঝুঁকি বেশি!

করোনার লক্ষ্মণ দেখা দিলে বা এমনকি কোন করোনা রোগীর সংস্পর্শে এলেই করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। আর করোনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য টেস্টটির নামই আরটি পিসিআর টেস্ট। কোভিড-১৯ ভাইরাসটির কারণে উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কিনা সেটা বুঝতে গলার ভেতরে এবং নাকের গোড়ার কাছ থেকে তুলা দিয়ে লালা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। আর এই পরীক্ষাটির নাম হল ‘রিয়াল টাইম পিসিআর’ বা রিয়াল টাইম পলিমারেস চেইন রিঅ্যাকশন। পরে ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করে বোঝা যায় যে রোগী পজিটিভ নাকি নেগেটিভ।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে খাবার, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট!

তাছাড়া গুরুতর রুগীদের জন্য সাধারণত নিচের পরীক্ষাগুলো করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে তা অবশ্যই রুগী ভেদে এবং রোগের লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসক পরীক্ষাগুলো করার পরামর্শ দেন।

  • সিবিসি
  • সিআরপি
  • প্রোক্যালসিটোনিন
  • ফেরেটিন
  • আরবিএস
  • এস ক্রিয়েটিনিন
  • ডি ডাইমার
  • এইচআর সিটি স্ক্যান
  • এবিজি
  • আইএল-৬
  • আরটি পিসিআর
See also  কুমিল্লায় করোনায় আরও ১২ জনের মৃ'ত্যু, মোট মৃতের সংখ্যা সাতশো ছাড়াল

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী দেশে এ মুহূর্তে ৫২টি সরকারি ও বাকী ৭৫টি বেসরকারি হাসপাতালের ১২৭টি পরীক্ষাগারে আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করা হয়।

সরকারিগুলোতে এ পরীক্ষার ব্যয় খুবই কম হলেও বেসরকারিগুলোতে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়।

সরকারি বুথ বা হাসপাতালে নমুনা দেয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান ফি ১০০ টাকা আর বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকার ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।

তবে বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার ফি কমপক্ষে সাড়ে ৩ হাজার টাকা আর বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে আরো এক হাজার টাকা দিতে হয়।

See also  জনসনের দাবি তাদের ভ্যাকসিন ‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট’ প্রতিরোধে সক্ষম

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালের মতো সরকারি হাসপাতালে উপরের সবগুলো টেস্ট করার জন্য ১১/১২ হাজার টাকা খরচ হতে পারে বলে চিকিৎসকরা ধারণা দিয়েছেন।

“সিটি স্ক্যান সরকারি হাসপাতালে হয়তো তিন হাজার নিবে আর বেসরকারি হাসপাতালে নিবে এর কয়েকগুণ,

প্রয়োজনে আইইডিসিআর এর করোনা কন্ট্রোল রুম (০১৭০০৭০৫৭৩৭) অথবা হটলাইন নম্বরে (০১৯৩৭১১০০১১, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৪৪৩৩৩২২২, ০১৫৫০০৬৪৯০১–০৫) যোগাযোগ করা যাবে। এ ছাড়া করোনাসংক্রান্ত তথ্য জানতে বা সহযোগিতা পেতে স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ এবং ৩৩৩ নম্বরে ফোন করা যাবে।

অনলাইনে করোনা নিয়ে যোগাযোগ করতে আইইডিসিআরের ই-মেইল [email protected] এবং ফেসবুক পেজে (Iedcr,COVID19 Control Room) যোগাযোগ করা যাবে।