মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ
দেশে করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির কারণে এর ক্ষতি পোষাতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে গত রোববার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। এই পাঠদান শুরুর পর সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্টের (কাজ) ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠদান শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই থেকে ৩০ কার্যদিবসের জন্য তৈরি করা হয়েছে সিলেবাস। এর আলোকে বাসায় বসে শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ (কাজ) করে মূল্যায়নের জন্য সেগুলো শিক্ষকের কাছে জমা দেবে।
এরই অংশ হিসেবে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এই অ্যাসাইনমেন্ট ছাড়া পরীক্ষা বা বাড়ির কাজের মতো অন্য কোনো উপায়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যাবে না বলেও বলা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে সব স্কুল-কলেজ বন্ধ। এ পরিস্থিতে মাধ্যমিক স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা হবে না। কিন্তু পরবর্তী শ্রেণিতে প্রমোশন দেওয়া হবে সবাইকে। কোনো মার্কিং বা গ্রেডিং দেওয়া হবে না। সবাই সমান পাস। এ প্রেক্ষিতে ৩০ দিনের মধ্যে শেষ করা যায় এমন সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। এ সিলেবাসের আলোকে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। ৬ সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের এসব অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে।
এর আগে গত শনিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বিষয়ভিত্তিক ও শ্রেণি অনুযায়ী পাঠপরিকল্পনা প্রকাশ করে। এতে শিক্ষকের জন্য কয়েকটি (১২টি) নির্দেশনা আছে। সেগুলো হচ্ছে শিক্ষার্থীকে প্রতি সপ্তাহে ৩টি করে অ্যাসাইনমেন্ট দিতে হবে; নির্ধারিত বিষয়ের প্রস্তাবিত অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেওয়া, মূল্যায়ন, পরীক্ষকের মন্তব্যসহ শিক্ষার্থীকে দেখানো এবং পরে প্রতিষ্ঠানে সেটি সংরক্ষণ করার কাজ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে; এই কার্যক্রমে প্রতিটি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; তারা সাদা কাগজে লিখে অ্যাসাইনমেন্ট (কাজ) জমা দেবে; অ্যাসাইনমেন্টের আওতায় ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন, সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন, সৃজনশীল প্রশ্ন, প্রতিবেদন প্রণয়ন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত আছে; অভিভাবক বা তাঁর প্রতিনিধি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতি সপ্তাহে এক দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করবেন এবং জমা দেবেন।
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে বিস্তারিত সিলেবাস পাওয়া যাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ওয়েবসাইটে (http://www.dshe.gov.bd)।
অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া বা গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা শ্রেণিভিত্তিক কর্মসূচি নির্ধারণ ও আলাদাভাবে দেওয়া এবং গ্রহণের ব্যবস্থা করবেন। এ ক্ষেত্রে অনলাইনের সাহায্যে বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিষ্ঠানপ্রধান বা অভিভাবক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীদের কাছে দেবেন ও গ্রহণ করবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অ্যাসাইনমেন্ট ব্যতীত মূল্যায়নসংক্রান্ত অন্য কোনো কার্যক্রম (যেমন পরীক্ষা গ্রহণ, বাড়ির কাজ দেওয়া ইত্যাদি) গ্রহণ করতে পারবে না।
এ ছাড়া অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের দুর্বল দিক চিহ্নিত করবেন এবং পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে সেগুলোর ওপর বিশেষ নজর দিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা শিক্ষকদের মূল্যায়নসহ অ্যাসাইনমেন্টগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবেন। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীরা কাছাকাছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ বা জমা দিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অভিভাবক বা শিক্ষার্থী তার নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সব আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা সমন্বয় করবেন।
Can you be more specific about the content of your article? After reading it, I still have some doubts. Hope you can help me.
Thank you for your sharing. I am worried that I lack creative ideas. It is your article that makes me full of hope. Thank you. But, I have a question, can you help me?
Your point of view caught my eye and was very interesting. Thanks. I have a question for you. https://accounts.binance.com/en/register?ref=JHQQKNKN
Thanks for sharing. I read many of your blog posts, cool, your blog is very good.