করোনা ভাইরাস

করোনায় আরও ২৪১ জনের মৃত্যু, শনাক্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ছাড়াল

করোনায় আরও ২৪১ জনের মৃত্যু, শনাক্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ছাড়ালদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে, কোন ক্রমেই এর দাপট থামানো বা কমানো যাচ্ছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১ হাজার ৬৩৮ জনে। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৮১৭ জন।

আজ বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বাড়লেও আশার বাণী হচ্ছে নতুন রোগী শনাক্ত ও রোগী শনাক্তের হার কমেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪৯ হাজার ৫১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। আগের দিন ২৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১৫ হাজার ৭৭৬ জন। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ছিল ২৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

See also  করোনায় প্রাণ গেল আরও ২১৮ জনের, রোগী শনাক্তের হার ছিল ৩১

গত সাতদিনে মৃত্যুর সংখ্যা হচ্ছে-মঙ্গলবার ২৩৫, সোমবার ২৪৬, রোববার ২৩১, শনিবার ২১৮, শুক্রবার ২১২ ও বৃহস্পতিবার ২৩৯ জনের মৃত্যু হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ১১২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৪১ হাজার ১৫৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন ৬৮ জন, খুলনা বিভাগে ৩৬ এবং রংপুর বিভাগে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের।

See also  করোনার তান্ডব চলছেই-আরও ২৩৯ জনের মৃত্যু | ২৫ বছর হলেই করোনার টিকা

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৪১ জনের মধ্যে পুরুষ ১২৫ ও নারী ১১৬ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৮৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩৭ জন, বাড়িতে ১৮ জন এবং একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

করোনায় নতুন মৃতদের মধ্যে শূন্য থেকে বিশোর্ধ ৫ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ২২ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৫ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫৫ জন, ষাটোর্ধ ৮২ জন, সত্তোরোর্ধ ৩৫ জন, আশির্ধ্ব ১২ জন, ৯০ বছরের বেশি বয়সী ৩ এবং ১০০ বছরের বেশি বয়সী ২ জন মারা যান।

See also  নতুন গবেষণা-শুধু মাস্কেই করোনা ঠেকানো সম্ভব নয়!

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায় ১ হাজার ৫৯৮ জনের। তারপরে মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ায় ৭৮৮ জনের। তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ভিয়েতনামে ৫৭৫ জনের।