Education

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় থাকছে বিভাগ পরিবর্তনের সুযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় থাকছে বিভাগ পরিবর্তনের সুযোগ। মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তিচ্ছুরা যোগ্যতা অনুযায়ী বিভাগ পরিবর্তন করতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান শাখা হতে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ তিনটি ইউনিটেই যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারী যে ইউনিটে আবেদন করুক না কেন, সে যে শাখা থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে সেই শাখার জন্য নির্ধারিত যোগ্যতা থাকতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আবেদনের ক্ষেত্রে মানবিক শাখার থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায়) ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ সহ মোট জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে। বাণিজ্য শাখা থেকে উত্তীর্ণদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৭.৫০ এবং বিজ্ঞান শাখার ভর্তিচ্ছুদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে। সকল ইউনিটের জন্য জিসিই ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় ৫টি বিষয়ে এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় অন্তত দু’টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় লেভেলে মোট ৭টি বিষয়ের মধ্যে ৪টি বিষয়ে কমপক্ষে ‘বি’ গ্রেড এবং ৩টি বিষয়ে কমপক্ষে ‘সি’ গ্রেড থাকতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষায় ২০২০ সালের এইচএসসি/সমমান, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বিএফএ (প্রাক), বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভকেশনাল), ‘এ’ লেভেল ও অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা শিক্ষার্থীরাও সংশ্লিষ্ট ইউনিটে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাদের জিপিএ ৫.০০ স্কেলে নির্ধারিত হবে।

তবে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে না। কেবল বিএফএ (প্রাক) ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ফলাফল এখনও সনাতন পদ্ধতিতে হওয়ায় তাদের আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে, সেক্ষেত্রে তাদের মার্কশিট/সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন ৭ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে। প্রাথমিক আবেদন শেষে ২৩ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত চূড়ান্ত আবেদন করা যাবে। ভর্তি পরীক্ষা তিনটি ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি ইউনিটে ৪৫ হাজার ভর্তিচ্ছু অংশ নিতে পারবে। বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২০ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় নূন্যতম পাস নম্বর হবে ৪০। ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।