করোনা ভাইরাস

করোনায় প্রাণ গেল আরও ২১৮ জনের, রোগী শনাক্তের হার ছিল ৩১

করোনায় প্রাণ গেল আরও ২১৮ জনের, রোগী শনাক্তের হার ছিল ৩১

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৩৬৯ জন।
৩১ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আগের দিনের তুলনায় আজ করোনায় নতুন রোগীর সংখ্যা কমলেও মৃত্যু বেড়েছে। অবশ্য নতুন রোগী কমলেও পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার প্রায় আগের দিনের মতো ৩০ শতাংশের ওপরেই আছে। আগের দিনের তুলনায় পরীক্ষার সংখ্যা কমে যাওয়ায় আজ নতুন রোগী শনাক্ত কমেছে।

See also  কুমিল্লায় করোনার ভয়াবহ ছোবল, প্রতিদিনই ভাঙছে রেকর্ড

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২১৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৪ জন এবং নারী ৮৪ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৫৬ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ১৩ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

এর আগে, শুক্রবার ২১২, বৃহস্পতিবার ২৩৯, বুধবার ২৩৭, মঙ্গলবার ২৫৮, সোমবার ২৪৭ ও রোববার ২২৮ জনের মৃত্যু হয়। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৯৭৬ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ হাজার ৯৮০টি। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৭ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৪টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ।

See also  গুরুতর করোনা রোগীদের যে কয়েকটি পরীক্ষা করতে বলেন চিকিৎসকেরা

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২১৮ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বছরের মধ্যে ১ জন, বিশোর্ধ্ব ৬ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৭ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩৭ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩৭ জন, ষাটোর্ধ্ব ৬৬ জন, সত্তোরোর্ধ্ব ৩৩ জন, আশি বছরের বেশি বয়সী ১৫ জন, নব্বই বছরের বেশি বয়সী ৪ জন এবং ১০০ বছরের বেশি বয়সী রয়েছেন ২ জন।

বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৬৭ জন, চট্টগ্রামে ৫৫ জন, রাজশাহীতে ২২ জন, খুলনায় ২৭ জন, বরিশালে ১০ জন, সিলেট বিভাগে ৯ জন এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের ১৬ জন করে রয়েছে।