নেইমারের এমন পারফরমেন্স দেখে আফসোস করছে বার্সা-রিয়াল
ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে নেইমারের পা থেকে এলো গোলটি। ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয়ে গিয়েছিল গোলশূন্যভাবে। খেলা চলছিল ইনজুরি সময়ের। ওই সময়ই আবদু দিয়াওলার কাছ থেকে পাওয়া ক্রসে অসাধারণ এক বাইসাইকেল কিক নেন নেইমার। সঙ্গে সঙ্গে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে সেটি জড়িয়ে গেলো স্ট্রসবার্গের জালে। ১২৬ দিন পর পিএসজির হয়ে মাঠে নামলেন শনিবার রাতে। স্ট্রসবার্গের বিপক্ষে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে মাঠে নেমেই আসলরূপে ধরা দিলেন ব্রাজিলিয়ান সুপার স্টার নেইমার ডি সিলভা জুনিয়র। নিজেদের মাঠ পার্ক ডি প্রিন্সেসে সফরকারীদের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র’ই করতে যাচ্ছিল পিএসজি; কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের ত্রাণকর্তা হলেন নেইমার। দুর্দান্ত এক গোল করে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি।
ম্যাচের খানিকপরে দ্বিতীয় গোলও করেন তিনি। কিন্তু ভিএআরের মাধ্যমে জানা যায়, অফসাইডের কারণে গোলটি ছিলো অবৈধ। তবু নেইমারের গোলেই নিশ্চিত হয় পিএসজির জয়। ব্রাজিলিয়ান তারকার এই গোল দেখে নিশ্চিত আফসোস করবে লা লিগার দুই জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা। কারণ, এমন একজন গোল স্কোরারই এখন প্রয়োজন এই দু’দলের। যিনি যে কোনো সময় ম্যাচের চিত্র পাল্টে দিয়ে দলকে জয় এনে দিতে সক্ষম। নেইমার পিএসজি ছেড়ে দেয়ার জন্য তিনি নিজ মুখেই বলেছিলেন। চেষ্টা করেছিলেন প্যারিস ছেড়ে যাওয়ার। তাকে দলে নিতে বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদ কোমর বেধে নেমেছিল মাঠে।
লা লিগায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো চলে যাওয়ার পর এখনও পর্যন্ত কাউকে পোস্টার বয় বানাতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। অন্যদিকে গোল স্কোরারের অভাবে প্রায় ম্যাচেই ভুগতে হয় জিনেদিন জিদানের দলকে। মেসির অনুপস্থিতিতে যে কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে কারও ওপর আস্থা রাখবেন, তেমনও কেউ নেই। এ কারণেই মেসিরা চেয়েছিলেন, নেইমারকে ফিরিয়ে আনতে। অন্ততঃ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে বার্সেলোনা নিশ্চিত থাকতে পারতো। রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার এখন আফসোস করা ছাড়া তেমন কিছুই করার নেই।
Thank you for your sharing. I am worried that I lack creative ideas. It is your article that makes me full of hope. Thank you. But, I have a question, can you help me?