শিক্ষা

এইচএসসির ফল প্রকাশে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

বেসরকারি কলেজ পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ হবে

  • করোনা মহামারির কারণে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করায় দুই পরীক্ষার ফলের গড় করে ফল প্রকাশ করতে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

  • এসএসসি পরীক্ষা জুনে, এইচএসসি জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

উল্লেখ্য করোনাভাইসের কারণে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। এ মহামারীর মধ্যে বিশেষ পরিস্থিতিতে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আজ মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার ফল সংক্রান্ত আইন রয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে ফল প্রকাশের জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। সহসাই এটি জারি করা হবে। তিনি জানিয়েছেন, ফল তৈরি আছে। অধ্যাদেশ জারি হওয়া মাত্রই ফল ঘোষণা করা হবে।  জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এই অধ্যাদেশ জারি হবে এবং সঙ্গে সঙ্গেই ফল প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, ফলাফলে যদি কোনো শিক্ষার্থী সংক্ষুব্ধ হন তাহলে তারা বোর্ডে আবেদন করতে পারেবন। আমি আশা করি সংক্ষুব্ধ হবার মতো ঘটনা ঘটবে না।

See also  গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে কেন বিবিএ পড়বেন

ফরম পূরণের অব্যয়কৃত অর্থ ফেরত প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বোর্ড ওয়েবসাইটে নোটিশ প্রকাশ করবে।

প্রসঙ্গত ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে। সেদিন তিনি বলেছিলেন, অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে এবারের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই ফল ঘোষণা করা হবে।

এইচএসসি-সমমানের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল যে প্রাধান্য পাবে, সে কথাও সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হবে।

See also  অনলাইনে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সমাবর্তন গ্রিন ইউনিভার্সিটির। প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে-শিক্ষামন্ত্রী

এসএসসি পরীক্ষা জুনে, এইচএসসি জুলাই-আগস্টে

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে আগামী বছরের এসএসসি এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে। পাঠ্যসূচি কাটছাঁট করে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তার ভিত্তিতে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করিয়ে জুন নাগাদ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হতে পারে। আর কাটছাঁট করা পাঠ্যসূচিতে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করিয়ে জুলাই-আগস্টে এই পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। আজ মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এ সময় তিনি শিক্ষার বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

See also  বেসরকারি কলেজ পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ হবে

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে এ বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা না হওয়ায় বোর্ড থেকে সনদ দেওয়া হলেও তাতে কোনো নম্বর উল্লেখ থাকবে না। শুধু উত্তীর্ণ লেখা থাকে। এ ছাড়া মাধ্যমিকে রোল নম্বরের পরিবর্তে আইডি প্রথা চালু করা হবে। অর্থাৎ পরীক্ষার ভিত্তিতে আগে যে রোল নম্বর থাকত, তা আর থাকছে না। আইডির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম চলবে।