শনিবার প্রকাশিত সমীক্ষায় সিইবিআর জানাচ্ছে, ২০১৯ সালেই ব্রিটেনকে অর্থনীতির বৃদ্ধিতে ছাপিয়ে গিয়েছিল ভারত। তবে করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউন আর তার জেরে আর্থিক বৃদ্ধিতে জোর ধাক্কা খায় ভারত। দাম পড়তে থাকে টাকার। ফলে ২০২০ সালে ফের ভারতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে ব্রিটেন। আর্থিক অগ্রগতির এই হার বজায় থাকলে ২০২৫ সালেই পঞ্চম অর্থনীতিতে পৌঁছবে ভারত।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি ২০২১ সাল থেকেই চাঙ্গা হবে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির গতি। এতে ২০২৭ সালে জার্মানিকে পিছনে ফেলে ও ২০৩০ সালে জাপানকে পিছনে রেখে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে ভারত বলে আশা। সিইবিআর রিপোর্ট জানাচ্ছে ২০২১ সালে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৯ শতাংশ ও ২০২২ সালে ৭ শতাংশ প্রসারিত হবে।
যদিও জানা গিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাবে চিন। ২০২৮ সালে ঘটবে এই ঘটনা।
গ্লোবাল টাইমসের সাম্প্রতিক রিপোর্ট জানাচ্ছে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চিন থেকে ভারতে ৫৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য এসেছে। প্রায়১৩ শতাংশ কম। অক্টোবর পর্যন্ত এই পরিসংখ্যান ছিল ১৬.২ শতাংশ। অন্যদিকে নভেম্বর পর্যন্ত ভারত থেকে চিনে পণ্য গিয়েছে ১৯০০ কোটি মার্কিন ডলার। যা আগের বছরের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি।
ফলে চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত যা অবস্থা তাতে চিন থেকে ১৩ শতাংশ কম পণ্য এসেছে। তবে এই সীমান্ত জটিলতার মধ্যে ও ভারত থেকে চিনে পণ্য রফতানি পরিমাণ বেড়েছে। যদিও এই বিষয়ে চিনা সংবাদমধ্যমের বক্তব্য,বাণিজ্যের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যাটিকে মিশিয়ে ফেলা উচিত নয়। আর সেই কারণেই ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে তাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। সম্প্রতি চিন থেকে পণ্য আমদানি কমেছে ১৩ শতাংশ এবং অন্যদিকে রফতানি বেড়েছে ১৩ শতাংশ।